• কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাবদ আয়ের থেকে বিগত তিন বছরে ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ করছে সেবা ভোজ স্কীম চালাতে।
  • কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কীম বিগত পাঁচ বছরে ২৭৮৮জন কে স্কলারশিপ প্রদান করছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রক।
  • জানুয়ারি ২০২৩ থেকে  এপ্রিল ২০২৩ সময়কালে ভারতে বিদেশী পর্যটক প্রায় ৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওই একসময় ২০১৯ সালের তুলনায়।

জুনিয়ার ডাক্তার বনাম সিনিয়ার ডাক্তারদের লড়াইতে বলি হল সাধারণ মানুষ

অভিষেক গাঙ্গুলি : পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চূড়ান্ত অরাজকতা চলছে। সম্প্রতি কলকাতার বেশ কিছু মেডিকেল কলেজে জুনিয়ার ডাক্তাররা কর্মবিরতি করেন। তারা দাবি তোলেন বিনা দোষে রোগীর আত্মীয়দের হাতে নির্যাতিত হতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি তোলেন তাদের চিকিৎসা করার জন্য উৎকৃষ্টমানের পরিকাঠামো দিতে হবে। মেডিকেল কলেজগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা চিকিৎসার জন্য সুব্যবস্থা প্রদান করেছেন যথা সম্ভব। অথচ জুনিয়ার ডাক্তাররা জানান স্টোরে সঠিক পরিমাণে মেডিসিন নেই যার দ্বারা তারা চিকিৎসা করবেন এবং যন্ত্রপাতিরও যথেষ্ট পরিমাণে অভাব আছে। জুনিয়ার ডাক্তাররা আরও জানান প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে গোটা কতক কনস্টেবল ডিউটিতে থাকেন। সেই জনাকতক কনস্টেবল দিয়ে কোনও ঘটনা ঠেকানো সম্ভব নয়। তাদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে। এই কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা পুরোপুরি ভেঙে পড়তে শুরু করে। কত রোগী যে বিনা চিকিৎসায় ফিরে যাচ্ছে, এদিকে চিকিৎসাধীন রোগীরা আরও অসুস্থ পড়ছেন। এর দায়বদ্ধতা কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য দফতর কেউই নিতে রাজি নন। তরিঘিরি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। তাতে জানানো হয় প্রতিটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে চারটি করে হোমগার্ড অ্যাপয়েন্ট করা হবে। এই হোমগার্ডের কাজ হল চিকিৎসার জন্য আগত সমস্ত রোগীদের গেটের মুখ থেকে নিয়ে যাবেন স্ট্রেচারে করে আত্মীয় বাড়ির কেউই আর রোগীর সঙ্গে হাসপাতাল বিল্ডিংয়ের ভিতর প্রবেশ করতে পারবে না। কোনও মানুষের মুমুর্ষু সময়ে তার আত্মীয়কেই কাছে পেতে চান তাতে রোগী মানসিক দিক থেকে অনেকটাই চাঙ্গা থাকেন। কিন্তু এই সার্কুলার জারি করে মানুষকে আরও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হল। ধীরে ধীরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মৃত্যুর খাঁচায় পরিণত করা হচ্ছে। অথচ এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পুরোটাই জন সাধারণের টাকাতে চলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। শুধুমাত্র ডাক্তারদের কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন কত রোগীর আত্মীয়দের যে হয়রানির স্বীকার হতে হয় তা আর কেউ চিন্তা করল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঠিক মতো ব্যবহার তো দূরের কথা দাঁড়িয়ে দু-দন্দ কথা বলার উপায় নেই। রাস্তার কুকুরের মতো ব্যবহার করে। হাসপাতালের স্টোরে ওষুধ থাকা স্বত্ত্বেও তা প্রেসক্রাইব করেন না। দামি দামি ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনেন তাতে মাসের শেষে ডাক্তারদের পকেটটা ভালোই ভরায় ওষুধ কোম্পানিগুলি।

দামি দামি মেসিনারি বিদেশ থেকে আনার পরও তার পরিষেবা ঠিকভাবে রোগীদের দেওয়া হয় না। সাধারণ মানুষের উপর যে অত্যাচার হয় এইভাবে তার বিরুদ্ধে কোনও আইন তৈরি হয় না। কারণ যারা এই আইন প্রবর্তন করেন তারা সকলেই তো ঠান্ডা ঘরেতে বসে সিদ্ধান্ত নেন আর সরকারি মোড়ক লাগানো গাড়িতে ঘুরে বেড়ান। তাদের অসুস্থতার জন্য নামি দামি নার্সিংহোমগুলোতো খোলাই আছে। সরকার থেকে তাদের যে চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয়। তাদের সাধারণ মানুষের জন্য মাথা ব্যাথা থাকবেই বা কেন। এটাই তো স্বাভাবিক। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলি রোগীর আত্মীয়দের ব্যবহার করে দাঙ্গা হাঙ্গামা ঘটায় আর তার খেসারত দিতে হয় রোগী এবং রোগীর সঙ্গে থাকা আত্মীয়দের। এটাই তো উন্নয়ণের ছবি পশ্চিমবঙ্গে। আপনার কী বলেন?

Related Posts

আমরা এখন Trial-Run করছি!

শীঘ্রই আমরা Re-Launched করব আমাদের অনলাইন পোর্টাল!

আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ