• কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাবদ আয়ের থেকে বিগত তিন বছরে ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ করছে সেবা ভোজ স্কীম চালাতে।
  • কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কীম বিগত পাঁচ বছরে ২৭৮৮জন কে স্কলারশিপ প্রদান করছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রক।
  • জানুয়ারি ২০২৩ থেকে  এপ্রিল ২০২৩ সময়কালে ভারতে বিদেশী পর্যটক প্রায় ৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওই একসময় ২০১৯ সালের তুলনায়।

Mohonbagan

মোহনবাগানের ট্র্যাডিশন আজও সমানে চলেছে

অমল ত্রিবেদী :  মোহনবাগান ক্লাবে আবার কোচবদল হল। করিম বেঞ্চারিফার জায়গায় সত্যজিê চ্যাটার্জি এলেন। এটা নেহাত কাকতলীয় নয়। এ আমাদের সকলের জানা। বছরে দু’বার অন্তত কোচ না পাল্টােল আবার ক্লাবের মান-ইজ্জত থাকে না। এতবড় ক্লাব। শুধু বড় বলে বড়, জাতীয় ক্লাব। আর কে আছে? চিরপ্রতিদ্বন্ধী ইস্টবেঙ্গল? না তারাও নয়। কেউই নয়। একমাত্র মোহনবাগান। ক্লাবের কমিটি, িনর্বাচন িনয়ে কত বিতর্ক। কতরকমের গল্প। তাও ক্লাব গড়গড়িয়ে চলছে প্রেিসডেন্ট টুটু বসু ও সচিব অঞ্জন িমত্রর হাত ধরে। সিনিয়ররা প্রায় সবাই সরে গেছেন। মান ইজ্জত িনয়ে মানেমানে কেটে পড়েছেন। যদি না যেতেন, এদের মতই মান ইজ্জত সব খোয়াতেন।
তা এহেন ক্লাবে ফুটবল কোচ করিম বেঞ্চারিফাকে তাড়িেয় দেওয়া হল। তাড়িেয় দেবার আগে ক্লাবে ছোটখাটো সংবর্ধনাও দেওয়া হল। জাতীয় ক্লাব বলে কথা। হাতে ফুলের স্তবক, পুরস্কার-টুরস্কার িদয়ে বলা হল — প্রয়োজনে আবার আপনাকে ডাকব। এ যেন অনেকটা গরু মেরে জুতো দান। মরক্কোর খ্যাতনামা কোচ করিম গত বছর ক্লাবে ভালই রেজাল্ট িদয়েছিলেন। চারটে ট্রফিতে খেলে তিনটেয় চ্যাম্পিয়ন, একটিতে রানার্স। দ্বিতীয় মরশুমে ট্রফি হয়তো িছল না িকন্তু, শিল্ড ও ডুরান্ডে রানার্স, ফেড কাপে সেমিফাইনািলস্ট ও মাঝপথে চলতে থাকা আই লিগে তাড়াবার আগে পর্যন্ত পঁাচ নম্বরে। অর্ধেক লিগ হয়েছে। পুরো অর্ধেক বাকি। সেই সময়ে এলেন ঘরের ছেলে সত্যজিê। যিনি বহুবার দলের বিপদে কোচের হাল ধরেছেন। িবদেিশ জামা ফেলে স্বদেিশ জামা গােয় দিল জাতীয় ক্লাব।
করিমকে তাড়ানোর জন্য অজুহাত হল পরপর দুটো ম্যাচ হারা এবং অনেক দেরি করে রাতে হোটেলে ফেরা এবং একদিন রাগে বাসের কাচ ভাঙা। একটি বেসরকারি চ্যানেলের সঙ্গে ইন্টারিভউ দেবার জন্য এবং ডিনারের জন্য করিম বাইরে ছিলেন। ফলে ফিরতে রাত হয়েছিল, তা আপনার মত ক্লাব কর্তারাও জানতেন। মনের ক্ষোভে মুষ্ঠীঘাত করার কাঁচ ভেঙে যায়। এটা এমন কোনও অপরাধ নয়, যার জন্য বিদেিশ কোচকে ক্লাব থেকেই তাড়াতে হবে। তাও তো তাকে তাড়ানো হল এবং হাসিমুেখ, ফুলের স্তবক দিেয়।
গোয়ার মাঠে ডেম্পো ম্যাচ এবং সালগাওকর ম্যাচে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যায় মোহনবাগান। কোচের স্ট্র্যটেজিকে এজন্য দায়ি করা হয়। তার বিরুদ্ধে ওঠা কোন অভিযোগের জবাব দেননি করিম। সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন িন তিনি। জাতীয় লিগ চলাকালীন শোনা গেছিল, তিনি সালগাওকরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন। বাস্তবে সেটাই ঘটল মোহনবাগান ছেড়ে করিম এখন নতুন ক্লাবে যোগ দিয়েছেন। মোহনবাগান ক্লাব ছাড়তে হতে পারে এরকমই একটা ইঙ্গিত তিনি পািচ্ছলেন।
শেষ পর্যন্ত চুনী গোস্বামীও সুব্রত ভট্টাচার্যের পরে আর এক ঘরের ছেলে সত্যজিêকে কোচ করল মোহনবাগান। মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্রর রামকৃষ্ণ মঠের মত। ওর জীবন দুটোই সত্য। অন্যদিকে সত্যজিê বলেছেন– “মোহনবাগানের ডাকে অবাধ্য করা আমার পক্ষে অসম্ভব। মোহনবাগান আমার রক্তের মধ্যে ঢুকে গেেছ।” আপাতত চার মাসের জন্য কোচ করা হলেও সত্যজিê এটা ভাল করেই জানেন, যতই তিনি ঘরের ছেলে হোন, অসফল হলে তঁাকে ছুড়ে ফেলা হবে অতীতের অমর দত্ত, সুব্রত ভট্টাচার্য, সুভাষ ভৌমিক, অলোক মুখাির্জদের মতই। বিদেশি কোচদের সঙ্গে তুলনা এক্ষেত্রে নাই বা করলাম।
এ মরশুমের শুরুতে বয়সে ছোট করিমের অধীনে সহকরি কোচ থাকবেন না বলে নিজেই সরে দঁািড়য়ে ছিলেন সত্যজিê। অতীতে চারজন কোচের সহকারি হিসেবে মোহনবাগানে কাজ করেিছলেন সত্যজিê। সহ খেলোয়াড় অলোক মুখাির্জ, অমল দত্ত, কার্লোস পাহিরা ও করিম বেঞ্চারিফা। এবারে সম্পূর্ণ স্বাধীন দায়িত্ব। ব্যারোটো, িচডি, মার্কোসদের একার হাতে সামলাতে হবে তঁাকে। সঙ্গে গোলকিপার কোচ হিসেবে অবশ্য হেমন্ত ডোরাকে পেয়েছেন। এখন দেখার শুধু একটাই একমাসের সময় পেেয় তিনি দলে কতখানি পরিবর্তন আনতে পারেন। জাতীয় লিগের দ্বিতীয় পর্বে অভাবনীয় কিছু না ঘটলে মোহনবাগানের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন হওয়া অসম্ভব বলেই মনে হয়। তবে ফুটবলেও অঘটন ঘটার সম্ভাবনা থাকেই। সেটাও মনে রাখতে হবে। আর অঞ্জন িমত্র, দেবাশিষ দত্ত-দের ভাগ্য তো চিরকালই ভাল। সেটাও মনে রাখা দরকার।

Related Posts

আমরা এখন Trial-Run করছি!

শীঘ্রই আমরা Re-Launched করব আমাদের অনলাইন পোর্টাল!

আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ