• কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাবদ আয়ের থেকে বিগত তিন বছরে ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ করছে সেবা ভোজ স্কীম চালাতে।
  • কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কীম বিগত পাঁচ বছরে ২৭৮৮জন কে স্কলারশিপ প্রদান করছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রক।
  • জানুয়ারি ২০২৩ থেকে  এপ্রিল ২০২৩ সময়কালে ভারতে বিদেশী পর্যটক প্রায় ৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওই একসময় ২০১৯ সালের তুলনায়।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার দুর্গাপুজো

স্বপন কুমার ঘোষ বাঙালি হিন্দুর বৃহত্তম উৎসব শরৎকালীন দুর্গোৎসব। কথাতেই আছে যেখানে বাঙালি সেখানেই দুর্গাপুজো। সেজন্য ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যেখানে বাঙালি আছে সেখানেই কয়েকজন মিলে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে। শোনা যায় ১৮৪২ সালে যমুনা নদীর ধারে দিল্লির কাগজী মহল্লায় প্রথম দুর্গাপুজো হয়। ১৯১১ সালে কলকাতা থেকে দিল্লিতে ভারতের রাজধানী স্থানান্তরিত হওয়ায় বহু বাঙালি কাজের কারণে সেখানে চলে যায়। তারাও ধারাবাহিকভাবে দিল্লিতে পুজোর আয়োজন করে চলেছে। সুতরাং, শুধু বাংলাদেশেই নয়, বাংলার বাইরেও পুজো সাড়সম্বরে পালিত হয়।

আশ্বিনের শুক্লা ষষ্ঠী থেকে শুক্লা নবমী পর্যন্ত দশভূজা মহিষসুরমর্দিনীর পূজা হয়। দেবী প্রতিমার সঙ্গে থাকেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ। দুর্গাপুজো ঐশ্বর্যের, বৈচিত্র্যের ও পূর্ণতার পূজা। ইনি দুর্গতিনাশিনী, উমা-মাহেশ্বরী, শঙ্করের গৃহিনী, হিমাচল দুহিতা। বাংলাদেশে এ পুজোর কে প্রচলন করেছিলেন তা নিয়ে মতভেদ আছে। ভাতুড়িয়া পরগনার কংসানারায়ণ অথবা কৃষ্ণনগরে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ৰ দু’জনকেই এই পুজোর প্রবর্তক বলা হয়। সুতরাং, এই পুজো বহু প্রাচীন।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পুজোর প্রকারভেদ ভিন্ন ধরণের। কোথায় নবম্যাদি কল্পমতে (অর্থাৎ, দুর্গানবমীর আগের নবমী) দেবীর বোধন বসে, আবার কোথাও প্রতিপদাদি কল্প, ষষ্ঠ্যাদিকল্প মতে দেবীর বোধন শুরু হয়। পারিবারিক বনেদী পুজোর মূলত নবম্যাদি কল্প মতে দেবীর বোধন হয়। এখানে ১৫ দিন চণ্ডীপাঠ হয়। অবশ্য প্রতিপদাদি ও ষষ্ঠাদি কল্প অনেক বনেদী পরিবারে দেখা যায়।

কলকাতার পুরনো পুজোগুলির মধ্যে সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের বাড়ির পুজো। এই পুজো প্রায় চারশো বছরের পুরনো। এখানে অগ্নিবর্ণা দেবী দুর্গা। এখনও পুজো হয় মধ্যযুগের প্রাচীন হাতে লেখা পুঁথি দুর্গাভক্তি তরঙ্গিনী মতে। রাধানাথ মল্লিক লেনে (সূর্য সেন স্ট্রিট) বসু-মল্লিকদের ঐতিহ্যবাহী শারদ পুজো প্রায় দু’শ বছর ধরে চলেছে। বেহালায় রায় বাড়ির পুজো প্রায় তিনশো বছরের। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মন্ত্রী প্রয়াত প্রতাপচন্দ্র চন্দ্রর ওয়েলিংটন স্কোয়ারের বাড়ির পুজো বেশ পুরানো। ভবানীপুরের বিখ্যাত মল্লিক বাড়ির পুজো আজও তার নিজস্ব গরিমায় অমলিন। জানবাজারে রানী রাসমণির বাড়ির পুজো প্রাচীন ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে।

 

Related Posts

আমরা এখন Trial-Run করছি!

শীঘ্রই আমরা Re-Launched করব আমাদের অনলাইন পোর্টাল!

আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ