• কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাবদ আয়ের থেকে বিগত তিন বছরে ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ করছে সেবা ভোজ স্কীম চালাতে।
  • কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কীম বিগত পাঁচ বছরে ২৭৮৮জন কে স্কলারশিপ প্রদান করছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রক।
  • জানুয়ারি ২০২৩ থেকে  এপ্রিল ২০২৩ সময়কালে ভারতে বিদেশী পর্যটক প্রায় ৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওই একসময় ২০১৯ সালের তুলনায়।

সম্পাদকীয় সম্পাদকীয় সম্পাদকীয় সম্পাদকীয় সম্পাদকীয় – 1

হাত বাড়ালেই বিদেশ। হ্যাঁ, আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। উৎসবের মাস গুলোতে একটু বেশি ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসতে পারেন এই প্রতিবেশী দেশটির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। বিশেষ প্রতিবেদন থাকছে ‘পাহাড় ভ্রমণ’। দেশের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার উপর ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনা করা হলো।
রাঙ্গামাটি : কাপ্তাই লেকের বুকে জেগে থাকা ছোট্ট একটি শহর রাঙ্গামাটি। এ শহরের পরতে পরতে রয়েছে বৈচিত্র্যের ভান্ডার। লেকের বাঁকে বাঁকে পেচানো এই শহর থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন এই সময়ে। শরতের স্নিগ্ধ আকাশ, স্বচ্ছ জলের লেকের ঝিরিঝিরি বাতাসে নৌকা ভ্রমণ, পাহাড়ে দাঁড়িয়ে দূর পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে এক্ষুণি বেড়িয়ে পড়ার জন্য তৈরি হোন। রাঙ্গামাটি প্রকৃতির লীলায়িত নন্দন কানন। যার পূর্বের নাম কার্পাস মহল। তার পরে নিউ রাঙ্গামাটি, কালের প্রবাহে এখন রাঙ্গামাটি। বাংলাদেশের ৬,১১৬.১৩ বর্গ কি.মি. এলাকা নিয়ে গঠিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ-ভূখণ্ড এই পূর্বে ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে বান্দরবন পার্বত্য জেলা এবং পশ্চিমে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা ও চট্টগ্রাম জেলা। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বর্ণময় নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠি এবং তাদের সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্য মন্ডিত সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সবসময় আকর্ষণ করে।
উপজাতীয় জাদুঘরঃ প্রথমেই যেতে পারেন উপজাতীয় জাদুঘরে। যে কোন ট্যাক্সিওয়ালাকে বললেই আপনাকে নিয়ে যাবে জাদুঘরের দুয়ারে। এখানে উপভোগ করতে পারবেন রাঙ্গামাটি-সহ পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত নানান উপজাতির জীবনাচরণ এবং নানা ধরনের তথ্য। ছোট অথচ অত্যন্ত সমৃদ্ধ এ জাদুঘরটি খোলা থাকে সোম থেকে শুক্রবার সকাল ৯.৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪.৩০ মিনিট পর্যন্ত। শনি, রবি ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনগুলোতে জাদুঘর বন্ধ থাকে। জাদুঘরে প্রবেশেও বড়দের জন্য পাঁচ টাকা এবং ছোটদের জন্য দুই টাকার টিকিট কিনতে
হবে।
রাজবন বিহার : এ জায়গা থেকে সরাসরি চলে যান রাঙ্গামাটি শহরের রাজবন বিহারে। এ অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি তীর্থস্থান এই রাজবন সার্কেলের প্রশাসনিক দপ্তর। বিহার। এখানে আছে একটি প্রার্থনালয়, একটি প্যাগোডা, বনভান্তের (বৌদ্ধ ভিক্ষু) আবাসস্থল ও বনভান্তের ভোজনালয়। প্রতি শুক্রবার ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে এখানে চলে প্রার্থনা। রাজবন বিহারে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে পারেন কাপ্তাই লেকের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।
রাজবাড়ি : রাজবন বিহারের পাশেই কাপ্তাই লেকের একটি দ্বীপ জুড়ে চাকমা রাজার রাজবাড়ি। নৌকা দিয়ে এই রাজবাড়িতে যেতে পারেন পাঁচ টাকা দিয়ে। অনেক উপজাতিদের মধ্যে এখনো চালু রয়েছে রাজ প্রথা। বর্তমানে চাকমা সার্কেলের রাজ্য ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। আঁকা বাঁকা সিঁড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠে গাছের ছায়ায় হাট বাঁধানের পথের মাথায় এ বাড়িটি দেখে ভালো লাগবে আপনার । এখানে আরও দেখতে পাবেন চাকমা সার্কেলের প্রশাসনিক দপ্তর।
রিজার্ভ বাজার : এবার নৌকা দিয়ে লেক পাড় হয়ে ট্যাক্সিতে করে চলে আসুন রিজার্ভ বাজারে। ঘুরে ফিরে দেখুন রাঙ্গামাটির ব্যস্ততম এই জায়গাটি। রিজার্ভ বাজার থেকে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার লঞ্চ ছাড়ে। রিজার্ভ বাজার ঘুরে এবার নিশ্চয়ই ক্ষুধার্ত। খেয়ে নিন এখানকার কোন রেস্তোরাঁয়। রিজার্ভ বাজার থেকে এবার চলুন পর্যটন কমপ্লেক্স।
পর্যটন কমপ্লেক্স ও ঝুলন্ত সেতু : পুরো রাঙ্গামাটি শহরের সব জায়গাতে লোকাল ট্যাক্সি চললেও এখানে যেতে হবে রিজার্ভ নিয়ে। ভাড়া ১০০- ১৫০ টাকা। তবে লোকাল টেক্সিতে চড়ে তলবছড়ি বাজারে এসে সেখান থেকে পায়ে হেঁটেও পর্যটন কমপ্লেক্সে আসতে পারেন। তবলছড়ি বাজার থেকে এখানকার দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। রাস্তার সৌন্দর্য দেখতে দেখতে এই অল্প পথ নিমেষেই ফুরিয়ে যাবে। একেবারে হাঁটতে মন না চাইলে এখান থেকে রিজার্ভ ট্যাক্সি নিতে পারেন ৭০-৯০ টাকায়। রাঙ্গামাটির কথা ভাবলে প্রথমে কল্পলোকে যে ছবিটি সবার আগে ভেসে উঠে সেটি হলো পাহাড়ের কোলে রঙ্গিন একটি ঝুলন্ত সেতু। হ্যাঁ পর্যটন কমপ্লেক্সের ভেতরেই রয়েছে সুন্দর এই ঝুলন্ত সেতুটি। পাঁচ টাকায় টিকিট কিনে এখানে ঢুকে পড়ুন। ঝুলন্ত সেতু ধরে যতোই সামনে এগোবেন ততোই ছবির মতো দৃশ্য আপনার দু’চোখকে হাতছানি দেবে। ইচ্ছে হবে কাপ্তাই লেকের ভেতরে দূর পাহাড়ি কোন দ্বীপে চির দিনের জন্য থেকে যেতে। সেতু পেরিয়ে সামনের পাহাড়ে উঠে ইচ্ছে মতো ঘুরতে পারেন। এখানে থাকতে পারবেন সন্ধ্যা অবধি । পাহাড়ে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে গেলে কাপ্তাই লেকে নৌ ভ্রমণ করতে পারেন। নৌ ভ্রমণের জন্য এখানেই পেয়ে যাবেন নানা রকমের নৌকা। দশ জনের চড়ার মতো ইঞ্জিন নৌকা প্রতি ঘন্টার জন্য ভাড়া ৫০০ টাকা, ১৫-২০ জনের নৌকা প্রতি ঘন্টা ৭০০ টাকা, স্পীড বোট প্রতি ঘন্টার জন্য ১২০০ টাকা আর আধ ঘন্টার জন্য ৬৫০ টাকা। এখান থেকে ইঞ্জিন নোকায় চড়ে যেতে পারেন প্যাদা টিং টিং কিংবা শুভলং।। রিজার্ভ বাজার থেকে ভাড়া নিলে শুভলং যাওয়া আসার জন্য ইঞ্জিন নৌকা পাবেন ১২০০ টাকায়। এছাড়া রাঙ্গামাটি থেকে কেয়ারীর কর্ণফুলী নামের একটি ক্রুজবোট চালু রয়েছে ভাড়া জন প্রতি ২০০ টাকা।

Related Posts

আমরা এখন Trial-Run করছি!

শীঘ্রই আমরা Re-Launched করব আমাদের অনলাইন পোর্টাল!

আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ