• কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাবদ আয়ের থেকে বিগত তিন বছরে ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ করছে সেবা ভোজ স্কীম চালাতে।
  • কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কীম বিগত পাঁচ বছরে ২৭৮৮জন কে স্কলারশিপ প্রদান করছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রক।
  • জানুয়ারি ২০২৩ থেকে  এপ্রিল ২০২৩ সময়কালে ভারতে বিদেশী পর্যটক প্রায় ৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওই একসময় ২০১৯ সালের তুলনায়।

অভিষেক বচ্চন যখন মাস্টারদা – 3

অভিষেক বচ্চন যখন মাস্টারদা

অভিষেক বচ্চন

চন্দন নিয়োগী : আর এক স্বাধীনতা সংগ্রামী নিয়ে তৈরি হচ্ছে ছবি। যে প্রাতঃস্মরণীয় বিপ্লবী সূর্য সেন তথা মাস্টার দাকে আমরা ভুলতে বসেছি। এ প্রজন্ম সম্ভবত তার কথা শোনেনি, তাকে সর্বভারতীয় চলচ্চিত্রের পেক্ষাপটে আনতে সচেষ্ট হয়েছেন। যে সে নন, মুম্বই-এর প্রখ্যাত পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর। সূর্য সেনের সংগ্রামের জায়গা বাংলাদেশেরই চট্টগ্রাম। ছবি নাম ‘খেলে হাম জ জান সে’। আশুতোষ এটিকে ঐতিহাসিক ছবি হিসেবে তৈরি করতে চাইছে না। ছবিতে এমনভাবে আজকের সময়ও আনা যাতে উনি চান আজকের যুবসমাজ এই ছবিকে গ্রহণ করুক। ধুতি কোর্ট পরা সেই মাস্টারদার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিষেক বচ্চন। এমন একজন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী চরিত্রে অভিনয় করতে কেমন লাগছে এ প্রশ্নে এসেই যায়। অভিষেক বচ্চনের কথায়–ঐতিহাসিক ছবি আমার সব সময়েই ভাল লাগে। আমি চেয়েছিও কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে। সুযোগ পেলাম সূর্য সেনের ভূমিকার কাজ করতে। তবে, দুঃখের কথা সূর্য সেন বাঙালির কাছে যতটা পরিচিত, তত বেশি পরিচিত নন তার সমসাময়িক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মতো। তবে ভাল লাগে যখন হিন্দি সিনেমা তাঁর মতো একজন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীকে সর্বভারতীয় পরিচিত দিতে উদ্যোগ নেয়। যথাযথ মর্যাদা এবং শ্রদ্ধা জানাতে সিনেমা তৈরি করে। বলাবাহুলা এ ছবি সেই তথাকথিত নায়ক-নায়ক ফর্মুলার ছবি নয়। এমন চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ জীবনে খুব কমই আসে। আর সেই কারণে এ ধরনের চরিত্রের জন্য সঠিকভাবে তৈরি হতে হয়। অভিযেষের কথায়, চেষ্টা করতে হবে সেই চরিত্রে অভিনয়ে সঠিক মর্যাদা রাখতে পারি। আর সেই জন্য ধুতি পরে কাজ করছি। অভিষেক বলেছেন, আমার ছবির পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকার প্রচুর গবেষণা করেছেন সূর্য সেনকে নিয়ে। আমরা তাঁর প্রচুর ছবি দেখেছি। তাঁর কাহিনীর সেই ৬৪ জন কিশোরের পরিচয় পেয়েছি। তাঁকে নিয়ে অসংখ্য লেখা আমরা পড়েছি। তাঁর লেখা চিঠি ও পড়েছি। এমনকি সেই সময়ে তাঁকে নিয়ে তোলা একটা ফুটেজও দেখেছি। এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য আমার সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল ঐতিহাসিক ছবির প্রচরিত ধ্যান ধারাগুলো ভেঙে ফেলা। পেটটা ঢুকিয়ে, বুক চিতিয়ে গলা তুলে সংলাপ বলার যে রীতি তার থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমি চেয়েছি দর্শকরা বুঝুন সেই সময়ের মানুষ আর আজকের মানুষের ব্যবহারের মধ্যে যে সব ফরশ্যালিটি আছে তখন তা ছিল না। ভাবুন তো উনি সংগ্রাম শুরু করেছেন কুড়ির মাঝামাছি। ধরা পড়েছেন ৩০-৩০। গোড়ার দিকেই। আমি চেষ্টা করেছি আজরে সময়ের উপযোগী হয়েই পর্দায় উপস্থিত হতে।

Related Posts

আমরা এখন Trial-Run করছি!

শীঘ্রই আমরা Re-Launched করব আমাদের অনলাইন পোর্টাল!

আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ