• কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাবদ আয়ের থেকে বিগত তিন বছরে ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ করছে সেবা ভোজ স্কীম চালাতে।
  • কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কীম বিগত পাঁচ বছরে ২৭৮৮জন কে স্কলারশিপ প্রদান করছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রক।
  • জানুয়ারি ২০২৩ থেকে  এপ্রিল ২০২৩ সময়কালে ভারতে বিদেশী পর্যটক প্রায় ৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওই একসময় ২০১৯ সালের তুলনায়।

কে বলেন শচীন ম্যাচ উইনার নন!

কে বলেন শচীন ম্যাচ উইনার নন!

বিশেষ প্রতিবেদন : বাংলার ক্রিকেট মহলে শচীন তেন্ডুলকার সম্পর্কে একটা কথা খুব চালু আছে যে শচীন যে ম্যাচে রান পায় ভারত সেই ম্যাচে হেরে যায়। পারিসংখ্যান কিন্তু এর ঠিক উল্টো বলছে কৃষ কিশোর রাও
২ নভেম্বর ১৯৮৯। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের এক স্মরণীয় দিন। কারণ ঐ দিনটাকে ক্রিকেটের মাস্টার ব্লাস্টার শচীন রমেশ তেন্ডুলকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করাচীতে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুভ সূচনা করেন। ২০ বছর ১৮ দিনের মাথায় ৫৯৭টা টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ৬৮৯ ইনিংসে ৩০ হাজার রানের পাহাড় তিনি গড়েছেন। সেদিন ১৭ বছরের এই ছেলেটিকে দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন নি সেদিনের শচীন আজকের মাস্টার ব্লাস্টার হয়ে উঠবেন ।
২০০৯-এর ডিসেম্বরে শেষ হওয়া কানপুর টেস্টের পর পরিসংখ্যানের নিরিখে ডানহাতি এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত ২২১ আন্তর্জাতিক ম্যাচের ২৬৩ টি ইনিংসে ৩৬ টি সেঞ্চুরি ও ৫৭ টি অর্ধ সেঞ্চুরির দৌলতে ১১,৮৫৪ রান করেছেন, যার গড় ৩০.২৭% আর বিদেশের মাটিতে খেলা ৩৭৭ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ৪০৭ টি ইনিংসে ৫২ টি সেঞ্চুরি ও ৮৭ টিঅর্ধ সেঞ্চুরির দৌলতে ১৮,২৫১ রান করেছেন, যার গড় ৪৯.৭৩%।
টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেটের এই সম্রাট যাঁর দখলে ৮৮ টি সেঞ্চুরি ও ১৪৪ টি অর্ধশত রান সেই মাস্টার ব্লাস্টার টি–২০ আন্তর্জাতিক খেলায় কিছু রেকর্ড একেবারেই ভালো নয়। তবে তিনি টি—২০ তে মাত্র ১ টি ম্যাচ খেলেছেন যাতে তিনি তাঁর নামের সুনাম ধরে রাখতে পারেন নি। করেছেন কেবল ১০ রান। কানপুর টেস্ট পর্যন্ত শচীন ১৬১ টেস্ট ম্যাচের ২৬৪ ইনিংসে ৪৩ টি সেঞ্চুরি ও ৫৩ টি অর্ধশত রানের দৌলতে ১২, ৯১৭ রান করেছেন। ৪৩৬ টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের ৪২৫ টি ইনিংসে ৪৫ টি শতরান ও ৯১ টি অর্ধশত রানের সাহায্যে ১৭, ১৭৮ রান তিনি করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে যার গড় ২৪.৭৩% কিন্তু একদিনের ক্রিকেটে ৪4.50 শতাংশ। এর থেকে বোঝা যায়, শচীন একদিনের ক্রিকেটের তুলনায় টেস্ট ক্রিকেটের অনেক বেশি সাচ্ছন্দ ।
ক্রিকেটের এই সম্রাটের দিন-রাত্রির ম্যাচের তুলনায় দিনের ম্যাচের রেকর্ড অনেক ভালো। কারণ সমস্ত টেস্ট ম্যাচই হয়ে থাকে দিনের আলোয়। দিনের আলোয় ৪১৫ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ৫১১ টি ইনিংসে ৬৪ টি শতরান ও ১০৮ টি অর্ধশত রান করেছেন। যার গড় ৪৮.৯১ শতাংশ এবং মোট ২২,৪৪১ রান। আর দিন-রাত্রির ১৮৩ টি ম্যাচের মধ্যে ১৭৯ টি ইনিংসে ২৪ টি শতরান ও ৩৬ টি অর্ধশতরানের সাহায্যে ৭৬৬৪ রান করেছেন, যার গড় ৪৬.৭৩ শতাংশ।
২০ বছরের এই দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ১৯৯৮ সালটি শচীনের জীবনে সেরা সাল। কারণ এই বছরটাতেই তিনি সেরা সাফল্য পেয়েছেন। এই বছর ৩৯ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ৪২ টি ইনিংসে ১২ টি সেঞ্চুরি ও ৮ টি অর্ধসেঞ্চুরির মাধ্যমে ২৫৪১ রান করেছেন, যার গড় ৬৮.৬৭ শতাংশ। ১৯৯৬ সালের ৪০ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ৪৭ টি ইনিংসে ৮ টি শতরান ও ১১ টি অর্ধশতরানের সুবাদে ২২৩৪ রান করেন, যার গড় ৪৯.৬৪ শতাংশ। ২০০১ সালেও তাঁর পারফরমেন্স খুবই ভালো ছিল— ৩৬ টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের ৪৫ টি ইনিংসে ৬ টি সেঞ্চুরি ও ৪ টি অর্ধসেঞ্চুরির সাহায্যে ২১৩৩ রান করেন, য়ার গড় ৫৪.৬৯ শতাংশ।

Related Posts

আমরা এখন Trial-Run করছি!

শীঘ্রই আমরা Re-Launched করব আমাদের অনলাইন পোর্টাল!

আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ