• কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাবদ আয়ের থেকে বিগত তিন বছরে ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ করছে সেবা ভোজ স্কীম চালাতে।
  • কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কীম বিগত পাঁচ বছরে ২৭৮৮জন কে স্কলারশিপ প্রদান করছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রক।
  • জানুয়ারি ২০২৩ থেকে  এপ্রিল ২০২৩ সময়কালে ভারতে বিদেশী পর্যটক প্রায় ৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওই একসময় ২০১৯ সালের তুলনায়।

রাজ্য বিজেপির পদযাত্রা

অভিজিৎ দে : সরকারি চাকরিতে অনগ্রসর মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সম্প্রতি কলকাতায় এক প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি রাজ্য দফতর থেকে ওই মিছিল শুরু হয়ে ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে গিয়ে শেষ হয়। ওই মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। মিছিলে অংশ নেন প্রথম সারির রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। পরে রাহুলবাবু জানান, রাজ্য সরকারের এরকম সিদ্ধান্ত অনৈতিক এবং অযৌক্তিক। এর প্রতিবাদে পুজোর পর থেকে লাগাতার রাজ্য জুড়ে প্রচার, আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কোথাও মনে হচ্ছে না যে সমাজের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রবঞ্চনা করা হচ্ছে।
রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় শিলান্যাস হচ্ছে। এই শিলান্যস সাধারণ মানুষের মনে নতুন উন্নয়নে আশা করে যোগাচ্ছে। কিন্তু এত শিলান্যাসের পরেও কোনও উন্নয়ন এখন সম্ভব হয়নি বাস্তবে। উন্নয়ন শুধুমাত্র খাতায় কলমে রয়ে গেছে। কখনও শাল বনীতে, কখনও সিঙ্গুরে, কখনও নানুরে, খালি প্রকল্পর উদঘাটনই হয়ে যাচ্ছে। যদি দেখা যায় বেকারত্বের সংখ্যা যা ছিল তাই আছে বা উল্টে যদি বলা হয় বেড়ে গেছে তাতে ভুল কিছু বলা হবে না। যে হারে আমাদের জনসংখ্যা বেড়েছে তার তুলনায় কাছে রাখা হবে সিঁদুর ভর্তি থালা, সেখানে মায়ের পায়ের ছাপ পড়বে। কোথাও বিসর্জনের সময় কলাপাতায় লেখা হবে—মা তুমি আবার এসো। কেথাও মা পতিগৃহে যাত্রা করবেন পান্তাভাত আর কচুশাক মুখে দিয়ে। কোথাও মায়ের জন্য মাখনের নৈবেদ্য, ঝাড়খিলি পান, পদ্মাফুল কাটা নিমকি, বাড়িতে তৈরি পাঁপড়….। কোথাও দশমীতে কইমাছ। কোথাও আবার স্বপ্নাদেশে মায়ের অঙ্গের রং-ই বদলে যাবে। মা সেখানে হয়ে যাবেন, অর্ধকালী অর্ধদুর্গা। অর্থাৎ মায়ের অঙ্গের রং অর্ধেক কলো । কোথাও মা আয়ুবধারিণী, সিংহ বাহিনী নন। তিনি কন্যা রূপিনী অভয়া দুর্গা। কোথাও দ্বিভূজা, শিবের কোলে আসীন, কোথাও সন্ধিপুজোর সময় কামান লাগবে। সবই স্বপ্নে পাওয়া, ইচ্ছে হাওয়া।
আসলে মানুষের কল্পনাশক্তি আর ইচ্ছেশক্তি কোন জায়গায় পৌঁছতে পারে এসব তারই কিছু নমুনা মাত্র। যেমন দেবী দুর্গা দশ হাত, জগন্নাথের আবার হাত কাটা, কারও চারটে হাত, কারও হাজার হাত, কারও দশটা মাথা কারও তিনটে এতটুকু কর্মসংস্থান বাড়েনি। উল্টে কর্মী ছাটাই কল কারখানা বন্ধ আর বেকারে সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানকে দৃঢ় করার জন্য এই ধরনের প্রকল্পগুলির উন্মোচন করে থাকেন। কিন্তু তাতে আপামোর জনসাধারণ আদৌ কোনও সুবিধা পায় না। আপামোর জনসাধারণকে বোকা বানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি এই ধরনের রাজনীতি করেই চলেছে। সত্যিই যদি এই শিলান্যাসগুলি প্রকল্পে পরিণত হয় তাহলে হয়তো বেকার সমস্যা নির্মূল হতো না, কিন্তু অনেকটাই কমে যেত। রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা তো শুধুমাত্র বলেই খালাস তারপর আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
কেউ আবার চিরকালই পা বাঁকিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ আবার একজনের বুকের ওপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন জিব বের করে। তাঁর গলায় কাটা মুণ্ডুর মালা। কারও মাথার জটা থেকে গঙ্গা প্রবাহিত, কেউ বীনা বাজাচ্ছেন। কেউ বাঁশি বাজাচ্ছেন, কেউ যুদ্ধ করছেন, কেউ ধ্যান করছেন, কেউ বসে আছেন, কেউ শুয়ে আছেন। কারও গায়ের রং সাদা, কারও সবুজ, কারও লাল, কারও কালো, কারও নীল, কারও হলুদ…। পেঁচা, সিংহ, বাঘ, ইঁদুর, ময়ূর, হাঁস, বেড়াল, শুকুন, গরু, —বাহন বৈচিত্র্যও ব্যাপক ।
এত সব কিছু কল্পনা করে তাকে রূপ দেওয়ার পর; মা আমাদের এসএমএস করছেন, এই ভাবনাটা বেশ অভিনব বইকী। আমাদের বর্তমান জীবন যাত্রার সঙ্গেও অনেকটা জুতসই। এখন তাঁর হাতে মোবাইল, তিনি আমাদের নাগালের মধ্যেই। অত সংস্কৃত মন্ত্র মনে রাখার সময় আমাদের নেই। অতএব সবশেষে তাকে একটা এসএমএস করি—যশ দাও মা, রূপ দাও না, অশুভ শক্তির বিনাশ কর মা। আমার এই এসএমএস যেন ফলপ্রসূ হয় মা। তোমার, আমার এই বন্ধন যেন আললিমিটেড হয় মা। সঙ্গে থেকো মা।
শ্রীজিতা সরকার : চতুর্থীর সন্ধ্যায় কাঁসর ঢাক, প্রদীপ ধূপ, ধুনো এবং মন্ত্রচ্চারণ একত্রিত হয়ে এক অন্য আবহের সৃষ্টি করল বেহালা ইয়ংম্যানস্ অ্যাসোসিয়েশন। এদিনই বেলুড় মঠের স্বামী ঈশ্বরত্মা নন্দোজি মহারাজের হাতে উদ্বোধন হয় এই পুজোর। ৬১তম বর্ষের এই পুজোতে সৃজনশীলতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার মাটির প্রদীপ পুজো মণ্ডপে এবং প্রতিমাতে যে রং ব্যবহার হয়েছে তার সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। মণ্ডপটি বেত, বাঁশের ছাল এবং প্রদীপ ব্যবহার করা হয়েছে। লোডশেডিং-এর বিকল্প হিসাবে রয়েছে সোলারলাইটের ব্যবস্থা।
এই পুজোকে কেন্দ্র করে পাড়ার সকলে একত্রিত হয়। সারাবছর নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত থাকার পর এই পুজোর ক’দিন সকলে একত্রিত হওয়ার সুযোগ পান বলে জানান এলাকাবাসী। উদ্বোধনের দিন থেকে দশমী পর্যন্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন এলাকারই কচিকাচারা।
বেহালা ইয়ংমেনস্ অ্যাসোসিয়েশন কেবলমাত্র পুজোর কাজই নয় সারাবছরই নানা ধরনের সামাজিক কাজকর্মও করেন। পুজোর উদ্বোধনের এসে ঈশ্বরত্মা নন্দোজি মহারাজ ফিতে কেটে প্রদীপ প্রজ্জোলনের সঙ্গে সঙ্গে মায়ের আরতিও করেন। এদিনই “আপনঘর” নামে একটি বৃদ্ধাশ্রমে বস্ত্র বিতরণ করা হয় এবং ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রাজু দাস নামে এক থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে ৫০০০ টাকা তুলে দেন মহারাজ। সমস্ত আর্থিক সহায়তা স্থানীয় বাসিন্দাদের হাত ধরেই। এলাকার শিশুদের প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর সুভেনিয়্যারে তাদের লেখা, আঁকা ছাপা হয়, তাছাড়াও সারাবছরই বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের প্রতিভা বিকাশের চেষ্টা করা হয়। এ বছর প্রতিমা হয় সম্পূর্ণ সাবেকি, ডাকের সাজে সোনালী গহনার পরিহীতা মাকে কেন্দ্র করে চতুর্থীর সন্ধ্যাতেই হয়ে গেল পুজোর শুভ সূচনা ।

Related Posts

আমরা এখন Trial-Run করছি!

শীঘ্রই আমরা Re-Launched করব আমাদের অনলাইন পোর্টাল!

আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ