• কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাবদ আয়ের থেকে বিগত তিন বছরে ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ করছে সেবা ভোজ স্কীম চালাতে।
  • কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কীম বিগত পাঁচ বছরে ২৭৮৮জন কে স্কলারশিপ প্রদান করছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রক।
  • জানুয়ারি ২০২৩ থেকে  এপ্রিল ২০২৩ সময়কালে ভারতে বিদেশী পর্যটক প্রায় ৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওই একসময় ২০১৯ সালের তুলনায়।

মূলপর্বে কীভাবে : ২০১০ বিশ্বকাপের ৩২ দেশ

হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়

হাফ টাইমের ঠিক আগে বোরি ফ্যালেন গোল করলেন। সেই সঙ্গে অসাধারণ গোলকিপিং করলেন তাঁদের গোলরক্ষক মার্ক প্যাস্টন। এই দুইয়ের যোগফলে ঘরের মাঠ ওয়েলিংটনে ২০০৯ এর ১৪ ই নভেম্বর বাহরিনকে ১–০ গোলে হারিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যবধানে বিশ্বকাপের টিকিট পেল নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনও খেলাকে কেন্দ্র করে এমন উন্মাদনা আর কখনো দেখা যায় নি। কার্যত গোটা দেশ উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিল। ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে সেদিন ৩৫১০০ জন দর্শক হাজির ছিলেন। একটা ফুটবল ম্যাচ দেখার জন্যে নিউজিল্যান্ডে এর আগে আর কখনও এত দর্শকের সমাগম ঘটে নি। এর আগে মাত্র একবারই বিশ্বকাপে খেলেছে তারা, সেই ১৯৮২ সালে। তারপর আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্র পেল তারা। এরজন্য ওসেনিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন দেশ হিসাবেনিউজিল্যান্ড প্লে অফ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল এশীয় অঞ্চলের পঞ্চম স্থানাধিকারী দেশ বাহরিনের সঙ্গে। দু দেশের মধ্যে বাহরিনের মানামায় হওয়া প্রথম ম্যাচটি ০-০ ড্র হয়। ফলে ওয়েলিংটনের ফিরতি সাক্ষাৎকারটি বাহরিনের পক্ষে ড্র করাটাই যথেষ্ট ছিল। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে কিন্তু জয় ছাড়া কোনও পথ ছিল না। সেই জয়ের গোলটিই এনে দেন ফ্যালেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলশোধের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল বাহরিন। পেনাল্টি পেয়েছিল তারা। কিন্তু সৈয়দ আদনানের নেওয়া পেনাল্টি শটটি রুখে দেন নিউজিল্যান্ডের গোলরক্ষক প্যাস্টন। ফ্যালন গোল করলেও বীরের মর্যাদা পান প্যাস্টনই। আর বাহরিন? পরপর প্লে অফে হেরে যাওয়ায় ২০০৬ এর মতো ২০১০ বিশ্বকাপও অধরা থেকে গেল তাদের সামনে। গতবার হেরেছিল ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর কাছে। এবারও দোরগড়ায় পৌঁছেও বিশ্বকাপে দরজাটা খুলতে পারলো না শেষপর্যন্ত। তাদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিল নিউজিল্যান্ড। আরও সহজ করে বলতে গেলে প্যাস্টন আদনানের পেনাল্টি শটটা রুখতে না পারলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বারের জন্য এশিয়ার পঞ্চম দেশ হিসাবে বাহরিনই দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার ছাড়পত্র পেত। দূর্ভাগ্য, তা হল না। ফলে ২০১০ বিশ্বকাপেও এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবে চারটি দেশই। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের সঙ্গে চতুর্থ দেশ হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে উত্তর কোরিয়া—১৯৬৬ সালের চমক জাগানো আবির্ভাবের পর (কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে পর্তুগালের কাছে হেরে গিয়েছিল ৩- ৫ গোলে)। আবার এবার এই প্রথম উত্তর ও দক্ষিণ-দুই কোরিয়াই বিশ্বকাপে খেলতে চলেছে। নিঃসন্দেহে এটা একটা চমকপ্রদ ব্যাপার। কিন্তু গত টানা চারটি বিশ্বকাপে খেলা সৌদি আরবের ২০১০ বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না। এশীয় অঞ্চলের প্লে-অফে তারা হেরে গেছে বাহরিনের কাছে। আবার বাহরিনও শেষরক্ষা করতে পারল না।

বাহরিন এশিয়ার পঞ্চম দেশ হতে না পারলেও উরুগুয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার টিকিট জোগাড় করে নিয়েছে প্লে অফ ম্যাচে কনকাকাফ অঞ্চলের চতুর্থ স্থানাধিকারী দেশ কোস্টারিকাকে হারিয়ে। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে অবশ্য এর আগেও পাঁচটি দেশ বিশ্বকাপে খেলেছে। ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, চিলি ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।

Related Posts

আমরা এখন Trial-Run করছি!

শীঘ্রই আমরা Re-Launched করব আমাদের অনলাইন পোর্টাল!

আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ