• কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাবদ আয়ের থেকে বিগত তিন বছরে ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ করছে সেবা ভোজ স্কীম চালাতে।
  • কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কীম বিগত পাঁচ বছরে ২৭৮৮জন কে স্কলারশিপ প্রদান করছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রক।
  • জানুয়ারি ২০২৩ থেকে  এপ্রিল ২০২৩ সময়কালে ভারতে বিদেশী পর্যটক প্রায় ৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওই একসময় ২০১৯ সালের তুলনায়।

প্রবীর সেন থেকে ঋদ্ধিমান

প্রবীর সেন থেকে ঋদ্ধিমান

হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় : টেস্ট ক্রিকেট খেলা প্রথম বাঙালি ক্রিকেটারের নাম প্রবীর সেন, বাংলা ক্রিকেট মহেল যিনি পরিচিত ছিলেন খোকন সেন নামেই। প্রবীর সেন ছিলেন উইকেট রক্ষক। প্রথম টেস্ট খেলেন ১৯৪৬ সালে। বল হাতে রঞ্জি ট্রপিতে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্বের অধিকারী প্রবীর সেন ৪৭-৪৮ য়ে ডন ব্যাডম্যানের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও উইকেট রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। এমন কি একবার ব্যাডম্যান স্টাম্প আউটও করেন। তাকে ধরে অতঃপর নয় নয় করে বেশ কয়েকজন বাঙালি ক্রিকেটার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে প্রবীর সেনের পরে ঋদ্ধিমান হলেন দ্বিতীয় বাঙালি উইকেট রক্ষক, নাগপুরে সদ্যসমাপ্ত ভারত- দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টে যার অভিষেক ঘটল দেশের হয়ে। অবশ্য নাগপুরে উইকেট রক্ষক নন, ঋদ্ধি সুযোগ পেয়েছেন ব্যাটসম্যান হিসাবে। যেহেতু উইকেট রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন অধিনায়ক ধোনি নিজে। ঋদ্ধিমান হলেন ১৩ তম বাঙালি ক্রিকেটার, যিনি টেস্ট খেলোয়াড়ের তালিকায় নিজের নাম তুলেলেন। বাঙালি নন, তবে বাংলার আর এক উইকেট রক্ষক রুসি জিজিবয় ১৯৬৭-র ইংল্যাণ্ড সফরে দলে ছিলেন, তবে সেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। বাংলার ক্রিকেটার হিসাবে প্রবীর সেনের পর মন্টু ব্যানার্জি, সুটে ব্যানার্জি তারপর পঙ্কজ রায়, অম্বর রায়, সুব্রত গুহ, দিলীপ দোশি, প্রণব রায়, অরুণ লাল, সুব্রত ব্যানার্জি এবং সৌরভ গাঙ্গুলী, সাবা করিম, দীপ দাশগুপ্ত টেস্ট খেলেছেন। তারপর এই ঋদ্ধিমান। আরও দুই বাঙালি টেস্ট খেলেছেন, তবে তারা বাংলার ক্রিকেটার হিসাবে নন, ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার হিসাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এই দুজন হলেন নীরদ (পুঁটু) চৌধুরী ও এ সেনগুপ্ত। দিলীপ দোশির উত্থান, সাফল্য – সব বাংলার হয়ে। অরুণলালও বাঙালি নন, তবে একান্ত ভাবে বাংলার ক্রিকেটার হিসাবেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জিজিবয়ের কথা আগেই বলেছি। সাবা করিম বিহার থেকে বাংলায় আসার পর টেস্ট খেলেছেন। গোপাল বসু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কেটি বেসরকারী টেস্ট খেলেছেন। শুধু একদিনের ক্রিকেটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন শরদিন্দু মুখার্জি, উৎপল চ্যাটার্জি, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, মনোজ তেওয়ারিরা। বাংলার আর এক উইকেট রক্ষক প্রাক্তন অধিনায়ক সম্বরন ব্যানার্জি সম্ভাবনা জাগিয়েও সুযোগ পান নি। তবে ঋদ্ধিমান পারলেন এবং অত্যন্ত নাটকীয়ভাবে। ১৫ জনের দলে ঢোকার পরেও প্রথম একাদশে তার আসার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। তবে কথায় আছে, ‘রাখে হরি তো মারে কে’। রাহুল দ্রাবিড় তো আগেই ছিটকে গেছেন। এরপর ভি ভি এস লক্ষণও চোটের কারণে দলের বাইরে চলে গেলেন। তার জায়গায় যাকে ভাবা হল, সেই রোহিত শর্মাও ইনজ্যুরির কারণেই শনিবার সকালে দল থেকে ছিটকে গেলেন। অবিশ্বাস্যভাবে কপাল খুলে গেল ঋদ্ধিমানের। জীবনের প্রধান টেস্টে ইনিংসে কোনও রান করতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রান করলেন। প্রথম ইনিংসে সেওয়াগ ও দ্বিতীয় ইনিংসে শচীন তেণ্ডুলকর ছাড়া নাগপুর টেস্টে কিন্তু ভারতের গোটা ব্যাটিং লাইন আপটাই ব্যর্থ। সেই নিরিখে ঋদ্ধির দ্বিতীয় ইনিংসে করা ৩৬ রান কিন্তু উড়িয়ে দেওয়ার মত নয়। ঘরের মাঠের দ্বিতীয় টেস্টে তিনি বাদ গেছেন। কারণ ফিরে এসেছেন লক্ষণ। এখন থেকে আবার অপেক্ষা সুযোগের জন্য, কবে পাবেন সেই সুযোগ ?

Related Posts

আমরা এখন Trial-Run করছি!

শীঘ্রই আমরা Re-Launched করব আমাদের অনলাইন পোর্টাল!

আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ