• কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাবদ আয়ের থেকে বিগত তিন বছরে ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ করছে সেবা ভোজ স্কীম চালাতে।
  • কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কীম বিগত পাঁচ বছরে ২৭৮৮জন কে স্কলারশিপ প্রদান করছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রক।
  • জানুয়ারি ২০২৩ থেকে  এপ্রিল ২০২৩ সময়কালে ভারতে বিদেশী পর্যটক প্রায় ৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওই একসময় ২০১৯ সালের তুলনায়।

কারাবন্দী পেলেন শান্তিতে নোবেল

কারাবন্দী পেলেন শান্তিতে নোবেল

রাজেশ দে : প্রেসিডেন্টের পর এবার কারাবন্দী, আামেরিকার পর এবার শান্তি নোবেল পেল চিন । ২০০৯-এর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামা ২০১০-এর নোবেল শান্তি পুরুস্কার পাবেন চিনের মানব অধিকার রক্ষার িভন্নমতাবলম্বী কারাবন্দি নেতা লিউ সিয়াওবো ।
নরওয়ের নোবেল কমিটি প্রেস রিলিজ এ জানিেয়ছেন তারা মনে করেন ফান্ডামেন্টাল হিউম্যান রাইটস আর শান্তির সম্পর্ক খুব িনবিড়। তাই দীর্ঘ দিন ধরে হিউম্যান রাইটস-এর পক্ষে লড়াই করা, চিনে মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সময় ধরে অহিংস আন্দোলনের জন্য লেখক ও অধ্যাপক লিউ সিয়াওবো কে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করা ।
চিন সরকার এই পুরস্কার ঘোষণার তীব্র জানিয়ে বলে এই পুরস্কার ঘোষনা নোবেল পুরস্কারের মূল সুরের পরিপন্থি। শাস্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনকারীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয় কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি । আইন ভঙ্গের অপরাধে ৫৪ বছর বয়সী লিউকে গত বছরের ডিসেম্বরে ১১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে । ২০০৮ সালের ‘চার্টার ২০০৮’ িশরোনামে একটি মেনিফেস্টো প্রকাশ করার দায়ে তঁােক শাস্তি দেওয়া হয়। এর আগেও ১৯৮৯ সালের জুন মাস থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চার দফায় কারাভোগ করেন লিউ ।
চিনের এই প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা জবাব দিয়েছে নোবেল কমিটি-সহ গোটা বিশ্ব। ব্যক্তি কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার জন্য কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া কোন রাষ্ট্রের নীতি হতে পারে না । লিউকে কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামা অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন শান্তিপূর্ণ ও অহিংস উপায়ে মানবাধিকারে প্রতিষ্ঠার লিউ এক সাহসী নাম । জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাজঙ্গেলা মেরকেলও লিউকে ‘সাহসী মানুষ’ উল্লেখ করে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান । লন্ডনের মানবাধিকার সংস্থা অ্যাজমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল লিউ সিয়াওবো-সহ ভিন্নমতাবলম্বী সব কারাবন্দিকে মুক্তি দিতে চিনকে আহ্বান জানিয়েছে । লিউ-এর নোবেল পুরস্কার চিনা গণ মাধ্যমগুলিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে । চিনের বিভিন্ন গণমাধ্যম পুরস্কারের সমালোচনা করেছে । তাদের বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এই পুরস্কার ঘোষিত হয়েছে। চিনে মাধ্যমগুলির নোবেল পুরস্কার জাতিয় সমস্ত খবর ব্লক করা হয়েছে । কয়েকটি ওয়েবসাইটে এবং লিউ-এর নাম দিয়ে এসএমএস পাঠানোর ব্যবস্থাও আটকে দেওয়া হয়েছে। চিনে লিউ-এর সমর্থকদের ধরে ধরে জেলে পাঠানো হচ্ছে। ১০ অক্টোবর লিউ-এর নোবেল বিজয় উদযাপনের সময় বেইজিংয়ে বেশ কয়েকজন মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। অতীতে দালাই লামাকে পুরস্কার দেওয়া নিয়ে এই জাতীয় সমালোচনা তৈরি হয়েছিল। তবে নোবেল পুরস্কার দেওয়া নিয়ে এতো বড় গণ্ডগোল নোবেলের ইতিহাসে এই প্রথম।
ব্যক্তি হিসাবে লিউ একজন বড় স্কলার। ১৯৮২ সালে জিলিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি পর তিনি বেইজিং নরমাল ইউনিভার্সিটিতে যোগ দিয়ে ১৯৮৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তী কালে বিভিন্ন সময় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, অসলো বিদ্যালয়, হাওয়াই বিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং স্কলার পদ অলংকৃত করেছেন। এইরকম বিদ্বান ও সমাজকর্মীকে নোবেল কমিটি শান্তি পুরস্কার দিয়ে, এই পুরস্কারের অন্য সম্ভাবনার দিক খুলে দিল।

Related Posts

আমরা এখন Trial-Run করছি!

শীঘ্রই আমরা Re-Launched করব আমাদের অনলাইন পোর্টাল!

আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ