• কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাবদ আয়ের থেকে বিগত তিন বছরে ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ করছে সেবা ভোজ স্কীম চালাতে।
  • কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কীম বিগত পাঁচ বছরে ২৭৮৮জন কে স্কলারশিপ প্রদান করছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রক।
  • জানুয়ারি ২০২৩ থেকে  এপ্রিল ২০২৩ সময়কালে ভারতে বিদেশী পর্যটক প্রায় ৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওই একসময় ২০১৯ সালের তুলনায়।

ইস্টবেঙ্গল

বিদেশী দলের বিপক্ষে ইস্টবেঙ্গল

খেলার দুনিয়ার প্রতিবেদন : প্রতিযোগিতা মূলক ফুটবলে বিভিন্ন বিদেশী দলের বিপক্ষে নয় নয় করে একশোর বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। বিদেশী দলের বিরুদ্ধে বরাবরই ভাল খেলার সুনাম রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। নানা সময়ে একাধিক শক্তিশালী বিদেশী দলের বিপক্ষে মনে রাখার মত জয় কুড়িয়ে নিয়েছে, যা আসলে ভারতীয় ফুটবলেরই সম্মান বািড়য়েছে। ৪০ বছর আগে ইডেন গার্ডেনে ১৯৭০-এর শিল্ড ফাইনালে ইরানের পাস ক্লাবের বিপক্ষে পরিমল দে’র করা গোলে ইস্টবেঙ্গলের সেই জয়ের কথা ভাবুন। এর আগেও বিদেশী দলের বিপক্ষে কিছু ম্যাচ জিতেছে তারা, সেগুলি ছিল প্রদর্শনী ম্যাচ এবং যুব উêসবের ম্যাচ।
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ইস্টবেঙ্গলের গৌরবময় অভিযান শুরু হল কার্যত ’৭০-এর শিল্ড ফাইনাল থেকেই। তিন বছর পর ’৭৩-এর শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল ৩-১ গোলে হারায় কোরিয়ার পিয়ং পিয়ং সিটি ক্লাবকে। সেই বছরই ডি সি এম ফাইনালে উত্তর কোরিয়ার আর এক শক্তিশালী দল ডকবরা গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে মর্যাদার সঙ্গে ড্র করে তারা এবং যুগ্ম বিজয়ীর সম্মান অর্জন করে। অতঃপর আরও কিছু গৌরবজনক জয় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গল কুিড়য়েছে কোরিয়া, থাইল্যান্ড, নাইজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বাহারিন, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপের ক্লাব দলের বিপক্ষে। তবে বিদেশী দলের বিপক্ষে ইস্টবেঙ্গলের ২টি সেরা জয় অবশ্যই যুব ভারতীতে ৯৩-এর কাপ উইনার্স কাপে ইরাকের আল জাওয়ার বিপক্ষে ৬-২ গোলে এবং চার বছর পরে ৯৭-এর কাপ উইনার্স কাপে এই যুব ভারতীতেই জাপানের কাওয়াসাবি ভেরুদির বিপক্ষে ১-০ গোলে। আর বিদেশী দলের িবরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের সর্বাধিক গোলের রেকর্ডটি রয়েছে ১৯৮৫তে কলম্বোতে আসিয়ান ক্লাব কাপে ভ্যালেনসিয়া ক্লাবের বিরুদ্ধে ৯-০ গোলে। ২০০৩-এর জুলাইয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে আসিয়ান ক্লাব কাপ জয় ইস্টবেঙ্গলের সেরা সাফল্য। প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলে আর কোনও ভারতীয় ক্লাব দল এই সাফল্য অর্জন করতে পারে নি। এর আগে ১৯৯৩ ও পরে ২০০৪ সালে তারা নেপালের মাটিতে অনুষ্ঠিত দুিট টুর্নামেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে আসিয়ান ক্লাব কাপ জয়ই ইস্টবেঙ্গলের কাছে সন্দেহাতীতভাবে সেরা সাফল্য। এছাড়া ২০০৪-এ এ এফ সি কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেও তারা দেশের মর্যাদা বািড়য়েছে। কিন্তু ২০০৫-এ সেই এ এফ িস কাপেরই গ্রুপ লিগের একটি ম্যাচে জর্ডনের আম্মােন আল ফয়জালি ক্লাবের কাছে ইস্টবেঙ্গল হেরে যায় ০-৫ গোলে। বিদেশী দলের বিপক্ষে ইস্টবেঙ্গলের ভাল খেলার সুনামে এটা কালি লেপে দিয়েছে। প্রতিযোগিতা মূলক ফুটবলে ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে বাজে হারের ঘটনাটি ঘটে ৯৮-এর কাপ উইনার্স কাপের অ্যাওয়ে ম্যাচে চিনের ডািলয়ান ক্লাবের বিপক্ষে ০-৬ ড্র করে। অবশ্য যুবভারতীর হোম ম্যাচে তারা ০-০ ড্র করে। বিদেশের মাটিতে বাজে ভাবে হেরে যাওয়ার পর ঘরের মাটিতে তার জবাব এর আগে ইস্টবেঙ্গল দিেয়েেছ। ’৯৭-এ জাপানের মাটিতে কাওয়াসাকি ভেরুদির কাছে ২-৫ গোলে হারলেও যুবভারতীর হোম ম্যাচটি ইস্টবেঙ্গল জেতে ১-০ গোলে। প্রশ্ন ছিল, আল ফয়জালির বিপক্ষেও কি ঘরের মাটিতে তারা একই কাজ করতে পারবে? কিন্তু না তারা পারেিন। যুবভারতীতে এবার ইস্টবেঙ্গল হেরে গেল ১-০ গোলে। ২০০৫-এর জুনে এ এফ সি কাপে ইস্টবেঙ্গল ভাল সাফল্য পায়নি। এবার জাপানের কাছে ৫ গোল খেয়েছিল আর জর্ডনের মাটিতেও ৫ গোলে হারে। সেবার ইস্টবেঙ্গল এই ভাবে হারবে তা কেউ ধারনা করতে পারেনি। ২০০৪-এ দলকে এ এফ সি কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তুলতে যারা বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন সেই ওকেরো, জুনিয়র ও ডগলাস না থাকার জন্য এবার যে বিশেষ কিছু ইস্টবেঙ্গল করতে পারবে তা অনেকেই বুঝে ছিলেন। কিন্তু তারা যে প্রতিযোগিতায় একাধিকবার ৫ গোলে হারবে, এটা কেউ বিশ্বাস করেন নি।
২০০৭-এ ফেডারেশন কাপ জয়ের সুবাধে ২০০৮-এ ইস্টবেঙ্গল এ এফ সি কাপে খেলার সুযোগ পায়। সুব্রত ভট্টাচার্যের প্রশিক্ষণে এই বছরটাকেও শুধু এই ফেডারেশন কাপই এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের ঘরে। ঠিক যেমনটি হয়েছে ২০০৯-এ। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে এবার তারা খেলেিছল ৬িট ম্যাচ। প্রতিদ্বন্ধী ছিল ইয়েমেন, জর্ডন আর লেবাননের দলগুিল। কিন্তু কোয়াটার ফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। দুিট ম্যাচ তারা জিতেিছল ইয়েমেনের আল-সানার বিরুদ্ধে ১-০ গোলের ব্যবধানে আর জর্ডন আল উইদাতের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে। আর একটি অমিমাংসীত ম্যাচ ছিল যুবভারতীতে লেবাননের সাফা এফ সি’র বিরুদ্ধে। ফলাফল ছিল ০-০। অবাক করেছিল জর্ডনে শক্তিশালী আল উইদাতের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পরে ঘরের মাঠে এই দলটির কাছে ৪-২-এ তাদের পরাজয়। আর গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল হেরেছিল ১-০ গোলের ব্যবধানে। বলা যেতে পারে এই পরাজয়ই ফলে ইস্টবেঙ্গল এবারের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়।
এবার অর্থাê ২০১০-এ বিদেশী প্রশিক্ষক ডি রাইডারের হাত ধরে আবার এ এফ সি কাপে খেলতে নামছে। এবার ফেডারেশন কাপ ছাড়া ইস্টবেঙ্গলের সাফল্য নেই। তাই সিরিয়া, লিবিয়া, কুয়েতের মত শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল কেমন খেলে সেটাই দেখার।

Related Posts

আমরা এখন Trial-Run করছি!

শীঘ্রই আমরা Re-Launched করব আমাদের অনলাইন পোর্টাল!

আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ