• কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাবদ আয়ের থেকে বিগত তিন বছরে ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ করছে সেবা ভোজ স্কীম চালাতে।
  • কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কীম বিগত পাঁচ বছরে ২৭৮৮জন কে স্কলারশিপ প্রদান করছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রক।
  • জানুয়ারি ২০২৩ থেকে  এপ্রিল ২০২৩ সময়কালে ভারতে বিদেশী পর্যটক প্রায় ৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওই একসময় ২০১৯ সালের তুলনায়।

ইয়াকুবু

শত গোলের ইতিহাস গড়লেন ইয়াকুবু

হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় : জাতীয় ফুটবল লিগ শুরু হয় ১৯৯৬-১৯৯৭ মরশুমে। এবারেরটা হচ্ছে ১৪তম বছরের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসাবে একশো গোলের মাইলস্টোন স্পর্শ করলেন ইউসিফ ইয়াকুব, ১৫৫টি ম্যাচ খেলে। ২০১০ সালের ২২েশ জানুয়াির শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল-চার্চিল ব্রাদার্স ম্যাচে তার করা দ্বিতীয় গোলটাই ইয়াকুবুকে গোলের সেঞ্চুিরতে পৌঁছে দেয়। জাতীয় লিগে তার আর্বিভাব ঘটে ২০০১-২০০২ যে চার্চিল ব্রাদার্সের হয়ে। আর্বিভাব বছরেই তিনি টপ স্কোরার হন ১৯ ম্যাচে ১৮ গোল করে। পরের বারের অর্থাত ২০০২-২০০৩ সালের জাতীয় লিগেও ২১ ম্যাচে ২১ গোল করে সর্ব্বোচ্চ গোলদাতা হন ইয়াকুবু। পরের দুটি জাতীয় লিগেও চার্চিলের হয়ে খেলেন তিনি। এ পর্যন্ত জাতীয় লিগে সবচেেয় বেশি ৬৫ গোল (৮৪ ম্যাচে) তিনি করেছেন চার্চিলের হয়েই। ২০০৫-২০০৬, ২০০৬-২০০৭ ও ২০০৭-২০০৮ পরের এই তিনটি জাতীয় লিগে ইয়াকুবু খেলেন মাহিন্দ্র ইউনাইটেডের হয়ে। চার্চিলের হয়ে সবচেয়ে বেিশ খেতাব জিততে পারেন নি। সেটা তিনি পেরেছেন মাহিন্দ্র ইউনাইটেডের হয়ে। ২০০৫-২০০৬ সালে শুধু জাতীয় লিগ নয়, সঙ্গে ফেড কাপও জিতেছিল মাহিন্দ্র। সেবার অবশ্য ইয়াকুবু সঙ্গী হিসাবে পেয়েিছলেন ব্যারোটোকে। ইস্টবেঙ্গলে এটা তার দ্বিতীয় জাতীয় লিগ। ২০০৮-২০০৯ সালে গত জাতীয় লিগে লাল হলুদ জার্সি পরে ১টি গোল করেন। এবারের লিগে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তার দশম ম্যাচে করা ষষ্ঠ গোলটিই হল ইয়াকুবুর শততম গোল। ১৪তম লিগের প্রথম পর্বের শেষে ইয়াকুবুর ১৫৭ ম্যাচে গোলের সংখ্যা ১০টি। বলার কথা, ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে খেলতে এসে এপর্যন্ত যত গোল তিনি করেছেন, তার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ গোলই এসেছে জাতীয় লিগে। লিগে আরও নানা কৃতিত্বের অধিকারী তিনি। ছয়টি হ্যাটট্রিক করেছেন, এবং তার সবকটাই চার্চিলের হয়ে। ছয়টি হ্যাটট্রিক করেছেন ওডাফা ওকোলিও। তবে ইয়াকুবুর মত ১৭ বার ম্যান অব দ্য ম্যাচ আর কেউ হতে পারেন নি। ইস্টবেঙ্গলের প্রধান ভরসা তিনিই। তাই চার্চিলের সঙ্গে ম্যাচের আগের গভীর রাতে মাতৃবিয়োগের খবর পেয়েও তাকে থেকে যেতে হয়। চার্চিল ম্যাচটা না খেললে সেদিন তার শততম গোল হত না ঠিকই, তার চেেয়ও বড় কথা, জাতীয় লিগের লড়াইটা ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসা হত না। কার্যত একার কৃতিত্বে ইয়াকুবু চার্চিল ম্যাচটা জেতান। শুধু তাই নয়, ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতেই মায়ের স্মরণসভা সেরে তিনি গোয়ায় যান প্রথম পর্বের বািক দুটি ম্যাচ খেলতে। এবং তার গোলেই ইস্টবেঙ্গল প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচটিও জেতে, স্পোটিং ক্লাব দ্য গোয়ার বিপক্ষে। আপাতত জাতীয় লিগের বিরতি। দ্বিতীয় পর্ব বা ফিরতি লিগের খেলা আবার শুরু মার্চ থেকে। মাঝের এই সময়টায় পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য তিনি ঘানায় গেছেন। তবে যাওয়ার আগে দলকে জাতীয় লিগের লড়াইয়ে ভালভাবে ফিরিয়ে এনেছেন। লক্ষ্য, ফিরতি লিগে দলকে খেতাব দখলের আরও কাছাকািছ নিেয় যাওয়ার। ইয়াকুবু সত্যিই এক ব্যাতিক্রমী চরিত্র।

Related Posts

আমরা এখন Trial-Run করছি!

শীঘ্রই আমরা Re-Launched করব আমাদের অনলাইন পোর্টাল!

আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ